মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন ২০২৩
আপনি কি মালয়েশিয়া ওয়ার্ক পারমিট ভিসা/ ভিজিট ভিসায় যেতে চাচ্ছেন? তাহলে জেনে নিন মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম।
কোন দালালের সাহায্য ছাড়া মালয়েশিয়ার ভিসা পেতে প্রথমে অনলাইনে আবেদন করতে হয়। তারপর অনুমোদিত প্রতিষ্ঠানে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস ও ভিসা ফি পরিশোধ করে মালয়েশিয়ার ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। Malaysia Visa আবেদন ও কি কি লাগে সে সম্পর্কেই আজকের আলোচনা।
এই পোস্টের সার সংক্ষেপ
মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করার নিয়ম
বর্তমানে মালয়েশিয়া ভিসা পেতে হলে অবশ্যই বিএমইটির ডাটাবেজে রেজিস্টার করতে হয়। তারপর নিজের দক্ষতা অনুযায়ী অনলাইনে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করে অনুমোদিত এজেন্সি কিংবা সরকারিভাবে ভিসা প্রক্রিয়াকরণ করে মালয়েশিয়া যাওয়া যায়।
সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী মালয়েশিয়া সরকার নতুন বিদেশী কর্মী নিয়োগ ও ভিসা প্রদান বন্ধ করেছে। তবে যারা পূর্বে আবেদন করেছে এবং যাদের আবেদন ডাটাবেজে রয়েছে তারা যথাক্রমে মালয়েশিয়া যেতে পারবে। ২০ মার্চ ২০২৩ মালয়েশিয়ার সঙ্গে ওয়ার্কিং গ্রুপের মিটিং থেকে এই ঘোষণা জানানো হয়। তাই নতুন করে ভিসা আবেদন গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। পরবর্তী ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত নতুন করে আবেদন গ্রহণ ও ভিসা প্রদান করবে না মালয়েশিয়া সরকার।
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য তিনভাবে আবেদন করতে পারবেন-
- মালয়েশিয়া ই-ভিসা
সরকারিভাবে মালয়েশিয়া যেতে হলে নিম্নোক্ত দুটি উপায়ে আবেদন করতে হয়-
- বিএমইটির কার্যালয় থেকে
- আমি প্রবাসী’ অ্যাপ এর মাধ্যমে
মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদনের পদ্ধতি নিম্নরূপ-
মালয়েশিয়া ই-ভিসা
এজেন্সির মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন করতে হলে- http://www.imi.gov.my/ এই লিংকে ভিজিট করে আপনার প্রয়োজনীয় ভিসার ধরন অনুযায়ী আবেদন ফরম ডাউনলোড করুন। তারপর তা সঠিকভাবে পূরণ করে প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টস সহ অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন ও ভিসা ফি পরিশোধের মাধ্যমে মালয়েশিয়া ভিসা সংগ্রহ করতে পারবেন। বর্তমানে ভিজিট ভিসা ও অন্যান্য ভিসার জন্য এভাবে আবেদন করা হয়।
বিএমইটি কার্যালয়ে আবেদন
পাসপোর্ট, পাসপোর্ট সাইজের ছবি, দক্ষতাভিত্তিক সনদ নিয়ে বিএমইটির কার্যালয়ে গিয়ে মালয়েশিয়া ভিসার জন্য আবেদন করতে হবে। বর্তমানে বাংলাদেশে বিভিন্ন জেলায় মোট ৪২ টি বিএমইটি কার্যালয় রয়েছে। এছাড়াও ১১টি বাংলাদেশ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে আবেদন করতে পারবেন।
কার্যালয়ে গিয়ে আপনার দক্ষতা অনুযায়ী অফিসের কর্মীদের বলে সঠিকভাবে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। পরবর্তীতে আবেদন গ্রহন করা হলে বিএমইটির ডাটাবেজ থেকে অথবা মোবাইল নম্বরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আমি প্রবাসী অ্যাপের মাধ্যমে
আমি প্রবাসী একটি প্রবাসী সেবা প্রদান ও ভিসা আবেদনের জন্য সরকার অনুমোদিত। আমি প্রবাসী অ্যাপ ডাউনলোড করে তা ওপেন করুন। তারপর-
(১) আপনার পাসপোর্ট স্ক্যান করে ও অন্যান্য সকল তথ্য প্রদান করে বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন করুন। তারপর তথ্য যাচাইয়ের জন্য ৭২ ঘণ্টা সময় নেওয়া হবে। তথ্য যাচাই সম্পন্ন হলে বিকাশের মাধ্যমে ৩০০ টাকা ফি পরিশোধ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন।
(২) এবার অ্যাপে লগইন করে মেইন পেজে বিএমইটির রেজিস্ট্রেশনের পাশে চাকরি খুঁজেন অপশন পাবেন। সেখানে প্রবেশ করলে বিভিন্ন চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখতে পাবেন।
(৩) আপনার পছন্দের চাকরির বিস্তারিত অপশনে প্রবেশ করে আবেদন করুন এ ক্লিক করলে আবেদন সম্পন্ন হবে।
আপনার মালয়েশিয়া ভিসার আবেদন গ্রহণ করা হলে পরবর্তীতে আমি প্রবাসী অ্যাপের মেসেজ ইনবক্স অপশন থেকে তা জানতে পারবেন। এবং মালয়েশিয়া কাজের ভিসায় যেতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসা পেতে কি কি লাগে
মালয়েশিয়ার কাজের ভিসা পেতে-
- আবেদনকারীর বয়সসীমা ২১-৪৫ বছর।
- কমপক্ষে দুই বছরের মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট।
- বিএমইটির ডাটাবেজে রেজিস্ট্রেশন।
- জাতীয় পরিচয়পত্র
- বিএমইটি কার্যালয়, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, অনুমোদিত এজেন্সির মাধ্যমে আবেদন।
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট।
- করোনা ভ্যাকসিনেশন কার্ড।
মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসা পেতে
- অনলাইন ভিসা অ্যাপ্লিকেশন ফর্ম।
- ৬ মাস মেয়াদ সম্পন্ন পাসপোর্ট।
- জাতীয় পরিচয়পত্র।
- সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডের পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
- রিটার্ন এয়ার টিকেটের কপি।
- হোটেল বুকিংয়ের কপি।
- ব্যাংক স্টেটমেন্ট।
- পূর্বে মালয়েশিয়া ভিজিটে গিয়ে থাকলে ভিসার কপি।
- কারো আমন্ত্রণে মালয়েশিয়া গেলে রেফারেন্স লেটার।
- উপরোক্ত ডকুমেন্টস গুলো নিয়ে মালয়েশিয়া ভিসা আবেদন করতে পারবেন।
মালয়েশিয়া ভিসার দাম কত
বর্তমানে সরকারিভাবে মালয়েশিয়া কাজের ভিসার মূল্য ৭৮,৯০০ টাকা। তবে মালয়েশিয়া কলিং ভিসা প্রসেসিং ফি ১,৬০,০০০ টাকা। এছাড়াও অন্যান্য আনুষাঙ্গিক খরচ মিলিয়ে ৩-৪ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।
মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসা প্রসেসিং ফি ৫,৮০০ টাকা। এছাড়াও আনুষাঙ্গিক সব খরচ মিলিয়ে তিন মাসের মালয়েশিয়া ভিজিট ভিসায় ৬০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা খরচ হতে পারে।