ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন আবেদন
অনেকের ক্ষেত্রে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করা একদম সহজ আবার অনেকের ক্ষেত্রে অনেক কঠিন। তো সহজ প্রক্রিয়া জাতীয় পরিচয় পত্র জন্ম তারিখ সংশোধন করার নিয়ম সহজ ভাবে তুলে ধরা হলো
এই পোস্টের সার সংক্ষেপ
কারা ভোটার আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করতে পারবেনঃ
যারা শিক্ষিত ব্যক্তিত্ব অর্থাৎ যাদের ন্যূনতম একটি এসএসসি বা এইচএসসি সার্টিফিকেট রয়েছে, অথবা জন্ম তারিখ উল্লেখিত যেকোনো একটি প্রাতিষ্ঠানিক সনদপত্র রয়েছে তারা খুব সহজেই উক্ত সনদপত্র সংযুক্ত করে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন আবেদন করতে পারবেন।
যাদের বয়সের ব্যবধান জন্ম তারিখ হতে ভোটার কার্ডের প্রিন্ট হওয়া বয়সের অনেক , তাদের ক্ষেত্রে একটা প্রতিষ্ঠানিক সনদপত্র থাকাটা অত্যাবশ্যক ।এতে করে সহজেই আইডি কার্ড সংশোধন করা সম্ভব।
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন ফি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রঃ
ফি পরিমান |
|
শিক্ষিত ব্যক্তি |
|
শিক্ষাবিহীন ব্যক্তি |
|
জন্মতারিখ সংশোধনের আবেদন ফি 230 টাকা জমা দেয়া যাবে সরাসরি পে অর্ডার করে, অথবা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে। আবার অনলাইনের মাধ্যমে যেমন রকেট পে-বিল অফশন থেকে ফি দিতে পারবেন।আপনার কাছে যেটা সহজলভ্য হবে আপনি সেটা বেছে নেবেন।
যারা ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে পারবেন নাঃ
অনেক ক্ষেত্রে জন্মতারিখ সংশোধন করতে গেলে মাসঅথবা তারিখ পরিবর্তন করা সহজ হয়। আর জন্মসাল পরিবর্তন করাটা একদম সহজ কথা নয়।এটি শুধু তাদের জন্য যাদের কোনো প্রতিষ্ঠানে সার্টিফিকেট নেই, অর্থাৎ শিক্ষার ব্যক্তিত তাদের ক্ষেত্রে সংশোধন আবেদন করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলে ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করাটা খুব কঠিন হয়ে যাবে।
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করতে হলে প্রত্যেককে ২৩০ টাকা ফি জমা বাবদ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে উপজেলা নির্বাচন অফিসে। তারপর তদন্তকারীরা তদন্ত করে আপনার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন করে দিবে।এজন্য আপনারা যথাসম্ভব জন্য কাগজপত্র সাথে নিয়ে থাকবেন যখন প্রয়োজন পড়বে তখন আবেদন ফরমের সাথে সংযুক্ত করবেন উক্ত নথিগুলো।
সংশোধন করার আগে অবশ্যই আপনার জন্ম নিবন্ধন সনদ অনলাইন করে নেবেন এবং জন্ম তারিখটি ঠিক করে নিবেন।
আরো পড়ুনঃ জন্ম নিবন্ধন যাচাই করুন অনলাইনে
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন অনলাইনে আবেদনের নিয়মঃ
যদি বাংলাদেশ আইডি কার্ড সিস্টেম অর্থাৎ Bangladesh NID Application System ওয়েবসাইটে আপনার ব্যক্তিগত আইডি কার্ডের একাউন্ট থাকে তাহলে আপনি অনলাইনে ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সংশোধন আবেদন করতে পারবেন।আর যদি আপনার এই পোর্টালে একাউন্ট না থাকে তাহলে আপনার আইডি কার্ড দিয়ে খুব সহজেই এখান থেকে একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করে ফেলতে পারবেন।
প্রথমে এই লিংকেগিয়ে আপনার ভোটার আইডি এবং পাসওয়ার্ড দিয়েলগইনকরে নিবেন।লগইন করার পরে প্রোফাইলে চলে যাবেন এর পরে সেখানে এডিট করার অপশন পাবেন সেখান থেকে আপনার জন্ম তারিখ টা পরিবর্তন করতে পারবেন।পরিবর্তন করার আগেই আপনাকে একটি ইন্টারফেস দেখানো হবে সেখানেই আপনাকে আবেদন করার জন্য ফি প্রদানের জন্য নির্দেশাবলী দেখানো হবে। আপনি সেই অনুযায়ী আবেদন ফি পরিশোধ করবেন।
মনে রাখবেন অনলাইনে এডিট করার অপশন টা আপনি ফি জমা দেয়ার পর চালু হবে। আর ফি জমা দেয়ার পর নির্দিষ্ট ভাবে একবার সংশোধন করার সুযোগ পাবেন ,তাই তাড়াহুড়া করে ভুল করবেন না।
সরাসরি উপজেলা নির্বাচন অফিসে সংশোধনের আবেদন ফর্মুলাঃ
ভোটার আইডি কার্ড জন্ম তারিখ সহ যাবতীয় ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে পারবেন মাত্র একটা ফরম পূরণ করে। আর ফরম পূরণ করে প্রণয়নের সাথে যাবতীয় তথ্য সংযুক্ত করে আপনি উপজেলা নির্বাচন অফিসে গিয়ে সংশোধনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
সংশোধন ফরম পূরণ ও জমা দেয়ার নিয়মঃ
শুধুমাত্র আইডি কার্ডের জন্ম তারিখ সংশোধন করার জন্য উক্ত ফোরামের বাকি সব প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ঘর যেমন নাম এনআইডি নাম্বার, যদি 18 বছরের নিচে হয় তাহলে পিতা বা মাতার নাম সহ এনআইডি নাম্বার পূরণ করতে হবে। এরপরে সম্পূর্ণ ফর্ম টি একবার পড়ে নিবেন।
ফরুম এ লেখার নিয়ম অনুযায়ী জন্ম তারিখ সংশোধনের ঘর ব্যতীত বাকি সব কেটে দিতে হবে। জন্ম তারিখের ঘর পাবেন (চ) তে। এরপরে প্রথমে ঘরে বর্তমান ভুল জন্ম তারিখ দিবেন। এবং সামনে চাহিদা সংশোধিত তথ্যের ঘরে আপনি যে জন্ম তারিখ টি চান সেটি দিবেন। উপরে-নিচে আপনার স্বাক্ষর দিবেন।সবকিছু পূরণ করা শেষে আবেদন ফি জমা দেবেন নির্ধারিত নিয়ম অনুসারে। আর উক্ত ফরমের সাথে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সংযুক্ত করে উপজেলা নির্বাচন অফিসে জমা দিবেন।
আইডি কার্ড সংশোধন আবেদন ফরম ডাউনলোড লিংক নিচে দেওয়া হলঃ
http://www.nidw.gov.bd/download/NIDForms/print_mistake_correction_form1.pdf
ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করতে কত দিন লাগে
সাধারণত যেকোনো ভোটার আইডি কার্ড সংশোধন করার ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন এক থেকে দুই মাস সময় নিয়ে থাকে। যথারীতি জন্ম তারিখ সংশোধন এর নির্ধারিত সময়ে এক থেকে দুই মাস এর বেশি হবে না। যদি এর থেকে বেশি সময় নিয়ে থাকে তাহলে দূরত্ব উপজেলা নির্বাচন কমিশন অথবা রাজধানী কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করুন