ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে জানুন
নতুন ভোটার নিবন্ধন ফরম -২ পূরণ ও বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করেছেন? এখন পর্যন্ত ভোটার আইডি কার্ড হাতে পাননি? বিস্তারিত জানুন ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে ।
সাধারণত ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা দেশের শরবত ক্ষেত্রে। ছোট থেকে বড় বড় সব ধরনের কাজে ভোটার আইডি কার্ডের প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর এই ক্ষেত্রে যাদের ভোটার আইডি কার্ড নেই তাদের অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ড করা আবশ্যক। যেমন ভোট দেওয়া থেকে শুরু করে, পাসপোর্ট আবেদন করা, ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন করা, বাসা ভাড়া, জমি ক্রয় বিক্রয় ইত্যাদি কাজে ভোটার আইডি কার্ড দরকার হয়।
প্রতি তিন বছর পর পর বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু করে নির্বাচন কমিশন। উক্ত কার্যক্রমে যাদের বয়স ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে তারা ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করতে পারে। ভোটা নিবন্ধন ফরম পূরণ করার কিছুদিন বাদে এলাকাভিত্তিক বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ কার্যক্রম শুরু হয়। এবং সবশেষে ভোটার নিবন্ধন ফরম ২ এর আংশিক অংশ তাকে বলা হয় ভোটার সিলিপ , প্রদান করা হয়। পরবর্তীতে ভোটার স্লিপ ব্যবহার করে ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করা যায়।
আবার যারা অন্য কোন সময়ে অনলাইনে কিংবা সরাসরি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করে বা ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করেন তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করার পরে বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হয়। এরপরে একটি ভোটার স্লিপ প্রদান করা হয়।
সাধারণত বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান এবং ভোটার স্লিপ গ্রহণ এর পরে প্রত্যেক নতুন ভোটারদের মনে চিন্তা থাকে ভোটার আইডি কার্ড কবে সংগ্রহ করতে পারব কিংবা কবে হাতে পাব।
ভোটার আইডি কার্ড পেতে কতদিন লাগে
ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করার পরে আপনি যখন বায়োমেট্রিক তথ্য প্রদান করে নিবন্ধন কার্যক্রম শেষ করবেন তার শেষে আপনার কাগজপত্র যাচাই বাছাই করবে কর্তৃপক্ষ। সব কার্যক্রম শেষে আপনার ভোটার আইডি কার্ডটি প্রস্তুত হয়ে গেলে ১৫ থেকে ২১ দিনের মধ্যে আপনাকে 105 নম্বর থেকে এসএমএসের মাধ্যমে আপনার ভোটার আইডি কার্ড নাম্বারটি জানিয়ে দেওয়া হবে এবং nidw ওয়েবসাইটের রেজিস্ট্রেশন করে ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করতে পারবেন।
এলাকাভিত্তিক গণহারে ভোটার তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রমের ক্ষেত্রে যেহেতু অনেক ভোটার কোন একসাথে আবেদন করেন সেহেতু এই প্রসেসে ভোটার আইডি কার্ড তৈরি হতে অনেকটা সময় কেটে যায়। অধিক ক্ষেত্রে ছয় মাসের অধিক সময় লেগে যায় ভোটার আইডি কার্ড প্রস্তুত হতে।
অন্যদিকে যদি উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে একাকী ভোটার আইডি কার্ড আবেদন করেন তাহলে সে ক্ষেত্রে আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই ও বায়োমেট্রিক কার্যক্রম শেষ হলে ১৫-২১ দিনের মধ্যে আপনি ভোটার আইডি কার্ডের এসএমএস পেয়ে যেতে পারেন।
তবে আপনার জেনে রাখা ভালো আপনি যদি এলাকাভিত্তিক ভোটার তথ্য হালনাগাদে ভোটার নিবন্ধন ফরম পূরণ করেন কিন্তু ভোটার আইডি কার্ড এসএমএস না পেয়ে থাকেন তাহলে দ্বিতীয়বার উপজেলা নির্বাচন কমিশন অফিসে গিয়ে ভোটার আবেদন করবেন না। কারণ দ্বৈত ভোটার হওয়া বা ভোটার আবেদন করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই নতুন ভোটার আবেদন করে থাকলে ভোটার এসএমএস না পাওয়া অবধি অপেক্ষা করুন।
যদি ১০৫ থেকে এসএমএস পেয়ে থাকেন তাহলে দ্রুত ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করুন। যেটি আপনি খুব সহজেই nidw ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট রেজিস্টার করার মাধ্যমে করতে পারবেন। বিস্তারিত জানুন ভোটার আইডি কার্ড ডাউনলোড করার নিয়ম।
যেহেতু নতুন প্রত্যেক ভোটার স্মার্ট কার্ড পাবেন সেহেতু স্মার্ট কার্ড বিতরণের পূর্বে বা স্মার্ট কার্ড পাওয়ার পূর্বে ভোটার আইডি কার্ড লিমিনেটিং অনলাইন কপি ডাউনলোড করে সব কাজে ব্যবহার করতে পারবেন।
ভোটার এসএমএস না আসলে কি করবেন
যখন আপনি দেখবেন আপনার আশেপাশের অনেকের মোবাইলে তাদের এসএমএস চলে এসেছে তখন যদি দেখেন আপনার এসএমএসটি আসেনি তাহলে কিছুদিন অপেক্ষা করুন। এরপরও যদি দেখেন আপনার এসএমএস আসছে না তাহলে আপনার ভোটার স্লিপ ব্যবহার করে nidw ওয়েবসাইটে একটি একাউন্ট রেজিস্টার করে দেখতে পারেন।
যদি সফলভাবে আপনি অ্যাকাউন্ট করে ফেলতে পারেন তাহলে বুঝতে পারবেন আপনার আইডি কার্ডটি রেডি হয়ে গেছে এবং nidw একাউন্ট থেকে ভোটার আইডি কার্ড অনলাইন কপি ডাউনলোড করতে পারবেন।
যদি কোন কারণে ভোটার স্লিপ হারিয়ে যায় তাহলে সরাসরি নির্বাচন কমিশন অফিসে যোগাযোগ করুন।