মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়
মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজতে নিশ্চয়ই এই পোস্টটি ভিজিট করেছেন। আসলে মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায় খুঁজে বের করাটা বর্তমান যুগের তেমন একটা কঠিন কাজ নয় বরং মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করা বড় একটা চ্যালেঞ্জ। মূল্যবান সময়, কাজের দক্ষতা অপর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে আজকাল অনেকে বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। বড় বড় সার্টিফিকেট নিয়ে চাকরি পাচ্ছে না ,বেকার ঘুরছে মানুষ।
এমনি করেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামের ঊর্ধ্বগতি, তার সাথে সামঞ্জস্যতা রাখতে হলেও দরকার প্রচুর আয় করা। কিন্তু আয় কিভাবে করা যায় ?শুধুই কি চাকরি করতে হবে এমনটা তো কোথাও লেখা নাই। চাকরি ছাড়াও যে মানুষ আজকাল লাখ লাখ টাকা আয় করছে সেটা হয়তো গুগল থেকে ঘেঁটে দেখে জানতে পারবেন অথবা আপনার আশেপাশে খোঁজ নিল দেখতে পাবেন।
আপনি যদি প্রাপ্তবয়স্ক হন এবং আপনার যদি কোন কিছু বোঝার এবং সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা থাকে তাহলে আপনিও পারবেন চাকরি করা ছাড়াই অনেক টাকা আয় করতে। শুধু মাত্র কয়েকটা স্টেপ গুলো মাথায় রেখে চললেই আপনিও পারবেন মাসে সর্বনিম্ন বিশ হাজার টাকা আয় করতে।
কিভাবে আয় করবেন এটা আপনাকে হাতে-কলমে কেউ শিখিয়ে দেবে না। হয়ত দু’চারটা পদ্ধতি বলে দিবে যারা এগুলা জানে। তবে বাকিটা আপনাকে কঠিন রিসার্চ করে বুঝে নিতে হবে এবং ধারন করে নিতে হবে নিজের মধ্যে। কিছু মানুষের মতোই কয়েকটা অনলাইনে বা অফলাইনে আয় করার ধারণা দেয়ার চেষ্টা করব যেগুলোর একটি বিষয় ফলো করলেই মাসে সর্বনিম্ন ২০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আর আজকের পোস্ট টপিক মাসে ২০ হাজার টাকা আয় করার উপায়।
আরো জানুনঃ অনলাইনে আয় করার উপায় ২০২২। ঘরে বসে যেভাবে আয় করবেন
কিভাবে আয় করবেন
গুগোলে নিশ্চয় টাকা আয় করা নিয়ে সার্চ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে গিয়েছেন। কতটুকু নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছেন বা পেলেও সে পদ্ধতি কতটুকু অবলম্বন করেছেন? আজকে মানুষ ইউটিউবে এবং গুগলে অধিকতর কনটেন্ট আপলোড করে যাচ্ছে টাকা আয় করার উপায় নিয়ে। তা দেখেও মানুষ বেকার ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোন আয় করতে পারছে না। মাসে ২০ হাজার আয় করাটা একদম ইজি ব্যাপার না। এটা আপনার উপর নির্ভর করবে, আপনি কতটা চালু, কতটা দক্ষ, কতটা ধৈর্যশীল সেটার উপর ডিপেন্ড করবে।
তো অনেক বকবক করলাম উপরোক্ত জিনিস গুলো খেয়াল রেখে চলতে পারলে অনেক টাকা আয করতে পারবেন যে কয়েকটি উপায়ে নিম্নে তা আলোচনা করা হলো
ফ্রিল্যান্সিং শিখুন
অনলাইন সম্পর্কে মোটামুটি ধারণা আছে এমন ব্যক্তির ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে না জানার কথা নয়। আমরা কম-বেশি ফ্রিল্যান্সিংয়ে শব্দটার সাথে পরিচিত। আমরা অনেকেই ফ্রিল্যান্সিংকে ডলারের কাজ বুঝি। আসলে ফ্রিল্যান্সিং হলো একটি মুক্ত পেশা যেটি আপনি স্বাধীনভাবে যেকোনো জায়গায় বসে করতে পারবেন। ফ্রিল্যান্সিং হলো অনলাইনের মাধ্যমে ঘরে বসেই চুক্তির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের বিভিন্ন মানুষের বিভিন্ন কাজ করে দেওয়া। বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে বিভিন্ন দেশের মানুষ ডলারের বিনিময়ে বিভিন্ন কাজের বিজ্ঞপ্তি দেয় সেখানে আপনি তাদের কাজটা করে দিয়ে সেই ডলার উপার্জন করতে পারবেন এবং সেই ডলার ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশি টাকায় ট্রানস্ফার করতে পারবেন।
ফ্রিল্যান্সিং শেখা কোন অমূলক বিষয় নয়। ফ্রিল্যান্সিং যে কেউ শিখতে পারবে যদি একটু বেসিক জ্ঞান থাকে অনলাইন সম্পর্কে। ফ্রিল্যান্সিং এ হাজার হাজার রকমের কাজ রয়েছে যেগুলো আপনি শিখে ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন তো আপনাকে হাজার হাজার কাজ করতে হবে এমনটা নয় আপনি যে কাজটার উপর আগ্রহ বেশি অথবা যে কাজটা আপনি করতে পারেন আপনি সেই কাজটি করবেন অথবা আপনি কোথাও থেকে ফ্রিল্যান্সিং এর যেকোনো কাজ শিখে নিতে পারেন। তারপর আপনি মার্কেটপ্লেসে একাউন্ট করে সেখান থেকে মানুষের কাজ করে দিয়ে ডলার আর্ন করতে পারেন।
ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে মোটামুটি একটি ভাল ধারণা ও দক্ষ ফ্রিল্যান্সিং কিভাবে এই বিষয়ে বাংলাদেশের স্বনামধন্য অনলাইন শিক্ষা পর্টাল রবি টেন মিনিট স্কুলের একটি কোর্স রয়েছে আপনি চাইলেই ফ্রিল্যান্সিংয়ের ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। কোর্স ক্রয় লিংক
ফটোগ্রাফি করতে পারেন
আজকাল আমরা ছবি তুলতে কে না পছন্দ করি? প্রিয় মুহূর্তগুলোকে ক্যামেরায় ধারণ করার জন্য অনেকেই ক্যামেরা ভাড়া করে। আর আমরা অনেকেই ছবি তুলতে পছন্দ করি মানুষের বিভিন্ন মুহূর্ত আমরা আমাদের ক্যামেরায় বন্দী করি। ফটোগ্রাফি মূলত শখের একটি অংশ আবার এইসব দিয়ে আপনি আয় রোজগারের পথ বের করতে পারেন। বাংলাদেশ ফটোগ্রাফি একটি পেশাদার অংশ হিসেবে না ধরলেও বহির্বিশ্বে ফটোগ্রাফির প্রচার রয়েছে ব্যাপক। তবে আপনার যদি একটি ভাল মানের ক্যামেরা থাকে তাহলে বিভিন্ন পার্কে অথবা বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে মানুষের ছবি তোলে আপনি সেখান থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেন।
আজকাল অনেকেই বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে ঘুরতে পছন্দ করে এবং বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায় সেখানে আপনি আপনার ক্যামেরা নিয়ে গিয়ে বিভিন্ন মানুষের ছবি তুলতে পারবেন তাদের অনুমতি নিয়েই এবং তারা আপনাকে তাদের ছবি তুলতে বলবে এবং তারা সেটা তাদের পরবর্তীতে মোবাইলে নিয়ে নেবে বিনিময় আপনি প্রতি ছবি হিসেবে দশ টাকা করে পেতে পারেন। এ ক্ষেত্রে দেখা যায় প্রতিদিন আপনি প্রায় এক থেকে দেড় হাজার টাকা ইনকাম করতে পারেন ফটোগ্রাফি করে।
এছাড়াও আপনার যদি ভালো মানের ফটোগ্রাফি হয় তাহলে আপনি আপনার তোলা বিভিন্ন ফটোগ্রাফি অনলাইনের মাধ্যমে বিক্রি করতে পারবেন বিভিন্ন ওয়েবসাইটে। এছাড়াও বড় বড় কোম্পানির হয় হায়ার ফটোগ্রাফি হিসেবে চাকরি করার সুযোগ তো আছেই।
উদ্যোক্তা হন
আজকাল অনেকেই নিজের ব্যবসা দাঁড় করার জন্য নিজেই উদ্যোগ নিচ্ছে। আর যারা ভবিষ্যতে বিভিন্ন কাজ করার জন্য উদ্যোগ নিচ্ছে তাদেরকে বলা হয় উদ্যোক্তা। সেটা হতে পারে ব্যবসা বা সেটা হতে পারে অন্য কিছু। আপনার যদি অল্প পরিমাণ পুঁজি থাকে তাহলে সেটা দিয়েই ছোটখাটো একটি ব্যবসা আরম্ভ করতে পারেন। অল্প টাকায় ভাল ব্যবসা আইডিয়া রয়েছে যা আপনি করলে কম ঝুঁকি নিয়ে ভালো পরিমাণ টাকা আয় করতে পারবেন।
কোন কোন ব্যবসা গুলো অল্প পুজিতে করা যায় বা কোন কোন কাজগুলো অতি সহজে করে সফল হওয়া যায় এ বিষয়টি নিয়ে আপনাকে রিসার্চ করতে হবে। যখন আপনি কোন ব্যবসা আরম্ভ করবেন তখন সেখানে আরও মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে। ছোটখাটো মুদি দোকান দিতে পারেন , ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট করতে পারেন, ফ্লেক্সিলোডের ব্যবসা করতে পারেন, ডিলারশিপ ব্যবসা করতে পারেন, হাঁস-মুরগি গরু-ছাগল পালন করতে পারেন, মাছের হ্যাচারি মাছের চাষ করতে পারেন এছাড়াও বিভিন্ন ব্যবসায়িক আইডিয়া রয়েছে যেগুলো আপনি গুগলে খুঁজে পাবেন।
ফেসবুক মার্কেটিং
ফেসবুকের মাধ্যমে ব্যবসা করে বর্তমানে বাংলাদেশের লাখ লাখ মানুষ স্বাবলম্বী হচ্ছে। আপনি যদি উপরোক্ত উদ্যোক্তা হতে পারেন তাহলে আপনি প্রথমত ফেসবুকের মাধ্যমেই আপনার যে কোন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মানুষ ফেসবুকে সারাদিন স্ক্রল করতে থাকে, ঠিক এই মুহুর্তে তার যদি কোন প্রয়োজনীয় প্রোডাক্ট চোখের সামনে হাজির হয়ে যায় তাহলে সে অর্ডার করতে ভুলেনা। অনলাইনে ব্যবসা করার এক জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। মানুষের নিকট বিভিন্ন প্রোডাক্ট পৌঁছে দেয়ার মাধ্যম হচ্ছে ফেসবুক মার্কেটিং। এখানে নির্দিষ্ট পরিমাণ ডলারের বিনিময় বিভিন্ন প্রোডাক্ট বুস্ট করতে পারবেন এবং সেটা প্রমোট করতে পারবে মানুষের মাঝে।
অনলাইনে মানুষ যেকোন বিষয়ের সমাধান চায়। অনলাইনে এ মানুষ সবসময় সমাধান কিনতে চাই। আপনি সেই সমস্ত প্রোডাক্ট বা সেবা নিয়ে ফেসবুক মার্কেটিং শুরু করবেন যা মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়। আপনি যখন সে সমস্ত পণ্য বা সেবা প্রমোশন করা শুরু করবেন ফেসবুকের মাধ্যমে তখন আপনার বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি পাবে যেটা আপনি কল্পনাও করতে পারবেন না।
তো এই ফেসবুক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি আপনার স্বল্প পুঁজির ব্যবসা গুলোকে প্রমোশন করে সেগুলোর বিক্রয়ের পরিমাণ বৃদ্ধি করে দিতে পারেন। যত বেশি বিক্রয় হবে তত বেশি আপনার লাভ হবে। ফেসবুকে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে ফেসবুক মার্কেটিং এর বিষয়ে সমস্ত জানতে হবে কিভাবে প্রডাক্ট প্রমোশন করতে হয় কিভাবে বুস্ট করতে হয় কিভাবে সেল আনতে হয় এই সমস্ত বিষয় নিয়ে বাংলাদেশের স্বনামধন্য শিক্ষা পোর্টাল রবি টেন মিনিট স্কুলের একটি কোর্স রয়েছে। আপনি চাইলেই সেটি করেই ফেসবুক মার্কেটিং এর শুরু করতে পারেন। কোর্স ক্রয় লিংক
রাইড শেয়ারিং
ভালো একজন ড্রাইভার হতে পারলে আপনি শহরে আপনার মোটরসাইকেল বা অন্য গাড়ি দিয়ে বিভিন্ন অনলাইন যেমন উবার, পাঠাও ইত্যাদি অ্যাপের একজন রাইডার হয়ে বিভিন্ন মানুষকে এখান থেকে অন্যখানে পৌঁছে দিতে পারেন বিনিময় অনেক টাকা আয় করতে পারেন। আপনার যদি একটা মোটরসাইকেল থাকে তাহলে তো কোন কথাই নাই আর বাংলাদেশ ট্রাফিক জামের যে অবস্থা সেখানে ছোট ছোট রাস্তা দিয়ে কোন রকম ভাবে দিয়ে দ্রুত স্থানে পৌঁছানোর জন্য অনেকেই মোটরসাইকেল রাইড হায়ার করে।
আজকাল অনেক লোক এই রাইড শেয়ারিং এর মাধ্যমে অনেক টাকা উপার্জন করছে। তো আপনার যদি একটা মোটরসাইকেল অথবা ভালো একটা গাড়ি থাকে এবং আপনারা যদি ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকে তাহলে অনলাইন অ্যাপ গুলোর মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করে আপনি একজন রাইড শেয়ারিং পার্টনার হয়ে যান তাদের এবং অনেক টাকা আয় করেন।
সার্ভিসিং এবং রিপেয়ার
কোন সমস্যাকে বিস্তারিত ভাবে সমাধান করে দেওয়া সার্ভিসিং এবং রিপেয়ার হিসেবে পরিচিত। সেটা হতে পারে কোন যন্ত্রাংশ বা টেকনিক্যাল কোন কিছু। এক্ষেত্রে আমি প্রধান বলব ইলেকট্রিক পণ্যগুলো সার্ভিসিং এবং রিপেয়ার করে দেওয়া। এক্ষেত্রে হতে পারে মোবাইল সার্ভিসিং, কম্পিউটার সার্ভিসিং এন্ড রিপেয়ার, ওয়ার্কশপ, গাড়ি ইঞ্জিন সার্ভিসিং ইত্যাদি। এটি মূলত এক ধরনের ব্যবসা বললেই চলে যেটা আমি উদ্যোক্তা অংশে বলে গিয়েছিলাম ।তো এটি করেও আপনি মাসে সর্বনিম্ন 20 হাজার টাকার উপরে ইনকাম করতে পারবেন।
Amii onk somossa asii amake plz kichu tka diye help korun Amar Bkash number;01977941120
লেখা গুলা ভালো হয়েছে
good job