বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো? সঠিক উপায়ে আবেদনের নিয়মকানুন
অধিকাংশ বাংলাদেশিদের প্রশ্ন বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো? বাংলাদেশ থেকে বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিদেশি অনুদানের জন্য আবেদন করা যায়। তবে ন্যায়সঙ্গত কারণ ছাড়া ব্যক্তিগত প্রয়োজনে যথেচ্ছভাবে যদি আপনি এই সুযোগের অপব্যবহার করেন তাহলে বিদেশ থেকে কোন রকম সাহায্য পাবেন না। ইতোপূর্বে এরকম অনাকাঙ্ক্ষিত বিভিন্ন ঘটনার কারণে বাংলাদেশ থেকে আবেদন প্রক্রিয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন আপনি চাইলে অন্য প্রক্রিয়ায় বিদেশি অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে সঠিক তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে আবেদন করতে হবে।
আজকের এই প্রবন্ধে থাকছে এরকম কিছু প্রক্রিয়ার বিস্তারিত আলোচনা। আশা করি, এ আলোচনা থেকে আপনি জানতে পারবেন কীভাবে বিদেশ থেকে অনুদান পাওয়ার জন্য আবেদন করা যায় এবং আবেদন করতে কী কী প্রয়োজন হয়। চলুন দেরি না করে জেনে নেই বিস্তারিত।
এই পোস্টের সার সংক্ষেপ
বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য আপনি উপযুক্ত কিনা?
প্রথমত, আপনি ব্যক্তিগত কোনো সমস্যার কারণে বাংলাদেশ থেকে অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন না। বর্তমানে বাংলাদেশে অনুদান দেওয়া বন্ধ রয়েছে। এক্ষেত্রে আপনার পরিচিত কেউ ইউরোপ আমেরিকাতে যদি থাকে তাহলে সে আপনার চিকিৎসা কিংবা গুরুতর কোনো সমস্যার জন্য অনুদানের আবেদন করতে পারবে। সেক্ষত্রে অবশ্যই আপনাকে প্রমাণ স্বরূপ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র সাথে দেখাতে হবে। যদি এই আবেদন গ্রহণযোগ্য হয় এবং অনুদান দেয়া হয়, তাহলে সে অনুদান আপনি বাংলাদেশের যে কোন মাধ্যমে আনতে পারবেন এবং খরচ করতে পারবেন।
দ্বিতীয়ত, আপনার সমস্যা ছাড়া যদি সামাজিক সমস্যা বা অন্য কোনো চারিটির জন্য আপনি অনুদানের জন্য আবেদন করতে চান, তাহলে আপনি বাংলাদেশে বসেই আবেদন করতে পারবেন। এক্ষেত্রে লক্ষ্য রাখবেন যে, ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করার সময় চ্যারিটি ক্যাটাগরি অনুসরণ করে আবেদন করবেন। ক্যাটাগরি অনুযায়ী আবেদন না করলে আপনার আবেদন বাতিল হয়ে যাবে।
বিদেশি অনুদান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসমূহ
- প্রথমে আপনার সংঠনের একটি ইমেইল এ্যাড্রেস থাকতে হবে।
- দ্বিতীয়ত, আপনার সংগঠন কোন ধরনের এবং কোন অবস্থানে রয়েছে তার আইডি কার্ডের প্রমাণপত্র লাগবে। এখানে আপনার সংগঠনের ওয়েব ওয়েবসাইট, আপনারা পজিশন ও সংগঠনের সাথে যুক্ত অন্যান্য পজিশন, সেন্ট্রাল Url link উল্লেখ করতে হবে ।
- আপনার নাম্বার, ঠিকানাসহ internal revenue service এর প্রমাণ লেটার।
- আপনার চ্যারিটি প্রতিষ্ঠানের বিজনেস কার্ডের ছবি।
- আপনার সংগঠনের প্রাপ্ত pay stub এর ছবি। যেখানে আপনার চ্যারিটি সংগঠনের নাম দেয়া যাবে।
- আপনার স্বাক্ষরসহ প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এর ছবি ।
- গত তিন মাসের মধ্যে আপনার সংগঠনের আয়োজিত কোন মিটিং এর ছবি যেখানে আপনার পজিশন এবং সম্পূর্ণ নাম উল্লেখ করা থাকবে।
বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো? এবং আবেদন করার বিস্তারিত উপায়
প্রথমতঃ
শুরুতেই আপনাদেরকে গুগলে গিয়ে এয়ার ফান্ডিং লিখে সার্চ দিতে হবে। এয়ার ফান্ডিং মূলত একটি অনুদানের ওয়েবসাইট। এই ওয়েবসাইটে প্রবেশ করার পর আপনার ইমেইল একাউন্ট অথবা ফেসবুক একাউন্টের মাধ্যমে সাইন আপ করতে হবে। তারপর আপনাকে ব্যক্তিগত তথ্য এবং জাতীয় পরিচয়পত্র সহ নিজের ছবি প্রদান করতে হবে। তারপর আপনি যে ক্যাটাগরিতে অনুদান পেতে চান সেই ক্যাটাগরিতে বিস্তারিত সব তথ্য উল্লেখ করতে হবে। অনুদানের জন্য আবেদন করার উপযুক্ত কারণ এবং আপনার জন্য অনুদানটি পাওয়া কেন এত জরুরি তা উল্লেখ করবেন।
এসব ক্ষেত্রে এই পোস্টগুলো উক্ত ওয়েবসাইটের হোমপেজ বা নির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে দেখানো হবে,যদি কোনো ডোনার আগ্রহী হন, তাহলে সে অনুদান পাঠাতে পারেন। এসময় ডোনার আর্থিক অনুদান পাঠানোর জন্য সর্বপ্রথম বাংলাদেশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে যোগাযোগ করবে এবং তারপর অনুদানের টাকা সরাসরি বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দেবে। বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুদানের আওতাভুক্ত সকলকে অনুদান পৌঁছে দিবে।
যদি অনুদান প্রতিবন্ধীদের জন্য দেয়া হয়ে থাকে, তাহলে শুধুমাত্র বাংলাদেশের প্রতিবন্ধী জনগণই এই অনুদানের টাকা পাবে। যদি অনুদান সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের জন্য পাঠানো হয়ে থাকে, তাহলে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের এই অনুদানের টাকা তুলে দেবে। একটি বিষয় উল্লেখযোগ্য হল, আপনি এককভাবে কখনোই এই বিদেশি অনুদান পাবেন না। সরকারি অনুমোদন ছাড়া এবং একক ভাবে বিদেশ থেকে অনুদান পাওয়া যায় না। তবে আপনি যদি শারীরিক প্রতিবন্ধী বা সুবিধা বঞ্চিত জনগণের আওতাভুক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে এ ব্যাপারে আপনার নিজস্ব উপজেলায় যোগাযোগ করুন।
দ্বিতীয়তঃ
আপনি যদি চ্যারিটি ক্যাটাগরিতে অনুদান নিতে চান তাহলে আপনার অবশ্যই একটি সংগঠন থাকতে হবে। তারপর নির্দিষ্ট ওয়েবসাইট যেমন gofund me থেকে আবেদন করতে হবে। যে ওয়েবসাইট থেকে আবেদন করতে চান, সেই ওয়েবসাইটের ফেসবুক গ্রুপ বা টুইটার গ্রুপে প্রচুর পরিমাণে পোস্ট করতে হবে। এতে করে ডোনারের সামনে আপনার পোস্ট চলে আসার সম্ভাবনা বাড়বে। এজন্য আপনাকে প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন গ্রুপে উক্ত পোস্ট এর লিংক শেয়ার করতে হবে। আপনি যে ওয়েবসাইটে আবেদন করেছেন সেই ওয়েবসাইটের হয়ে আপনাকে পোস্ট শেয়ার করতে হবে বিভিন্ন গ্রুপে। এছাড়া এমন সব গ্রুপেও আপনাকে পোস্ট করতে হবে যেখান থেকে ডোনাররা সাধারণত অনুদান দিয়ে থাকেন ।
যদি আপনি অনুদান পেয়ে যান তাহলে সংশ্লিষ্ট ওয়েবসাইট থেকে আপনাকে একটি মেইল করা হবে সেখানে আপনার কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র চাইবে। আপনাকে এসব কাগজপত্র দাখিল করে অনুদানের টাকা গ্রহণ করতে হবে। বড় প্রজেক্টের ক্ষেত্রে আপনি সঠিক নিয়মে আবেদন করে উপযুক্ত প্রমাণ দাখিল করার পর যদি আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে আপনি আড়াইহাজার ডলার থেকে শুরু করে 5 লাখ, 20 লাখ এ ধরনের ফান্ডও আপনি আনতে পারবেন ।
আপনার আবেদন গ্রহণযোগ্য হবার পরের ধাপ হল অনলাইনে অনুদানের টাকা গ্রহণ করা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের অনলাইনে অনুদান পাওয়ার কোন ওয়েবসাইট নেই। আপনি পেপাল এবং ব্যাংকের ভিসা কার্ডের মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করতে পারবেন।
শেষ কথা
আশা করি, আজকের আলোচনা থেকে বিদেশি অনুদান কিভাবে পাবো এই প্রশ্নের উত্তর পেয়েছেন এবং আপনি বিদেশ থেকে অনুদান পাওয়ার জন্য কীভাবে আবেদন করা যায় তা বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। উপরে উল্লেখিত নিয়ম মেনে সততার সাথে আর্থিক অনুদানের জন্য আবেদন করুন। আশা করা যায়, যথাযথ কারণ থাকলে আপনি বিদেশি অনুদান পেয়ে যাবেন।
আমাদের কোনো জায়গা জমি নেই আমার মা সব সময় অসুস্থ হয়ে পড়ে থাকেন আমরা কাজ করলে ভাত খাই আর যে দিন কাজ থাকে না সেই দিন চুলা জলে না,
I’m very pure.i helf your.