বুস্টার ডোজ আবেদন করার নিয়ম
ইতোমধ্যে যারা করোনা ভ্যাকসিন নিয়েছে তাদের সবার মনে একটা প্রশ্ন আসে যে বুস্টার ডোজ আবেদন কিভাবে করব, বুস্টার ডোজ কিভাবে নিতে হবে, বুস্টার ডোজ আবেদন করার নিয়ম , বুস্টার ডোজ কখন দিবে ইত্যাদি। যাদের মনে সমস্ত প্রশ্ন কাজ করছে তাদের জন্য সহজ সমাধান হিসেবে আজকের এই আর্টিকেলটি অনেক হেল্পফুল হবে।
Booster Dose Bangladesh – How To apply Booster dose
করোনা মহামারী ২০২০ সালে প্রথম বাংলাদেশে শনাক্ত হয়। এরপরে বাংলাদেশ এ করোনার শনাক্তের পরিমাণ এবং করোনা শনাক্ত হয়ে মৃত্যুর পরিমাণ বেড়েই চলেছে। শুধু বাংলাদেশে নয় সারা বিশ্বে এই মহামারী করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছে। প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছিল। অবশেষে বিজ্ঞানীদের জটিল গবেষণার পরে করোনাভাইরাস এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তৈরি করতে সক্ষম হয় বিজ্ঞানীরা। অনেকটা সময় এর পরে কোন ভ্যাকসিন তৈরি করা হয় এবং তা মানবদেহে পুশ করার মাধ্যমে তার যথার্থতা বের করা হয়। করোনা ভ্যাকসিন প্রধানত দুটি ডোজ এ বিভক্ত করে দেওয়া হয়। প্রথম ডোজ দেওয়ার পরবর্তী এক মাস পর আরেক ডোজ দেওয়া হয়। বাংলাদেশ থেকে যারা করণা ভ্যাকসিন নিয়েছেন তারা প্রত্যেককে অনলাইনে সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হয়েছে।
তো এই ভ্যাকসিন এর কার্যকরিতা আসলে সব কোম্পানির ক্ষেত্রে এক রকম নয়। করোনার ভ্যাকসিন কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের রিসারচ করে তৈরি করেছে যেমন ফাইজার এবং অনন্য। এই করোণা ভ্যাকসিন এর কার্যকরিতা সবকটা একরকম নয়। করণা প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ তারপরেও ভ্যাকসিন দেয়ার পরেও অনেকে করোনা আক্রান্ত হচ্ছে। আর এই কারনেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার উদ্যোগ আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য সংস্থা WHO নিয়েছে । তো এই বুস্টার ডোজ এর কার্যকরিতা এবং বুস্টার ডোজ বাংলাদেশ থেকে কিভাবে পাবেন সেই বিষয়ে আজকে কথা বলব । প্রথমেই জেনে নেয়া যাক বুস্টার ডোজ কি
বুস্টার ডোজ কি । বুস্টার ডোজ কাকে বলে
উইকিপিডিয়া অনুসারে বুস্টার ডোজ হল আগের ডোজের পরে একটি ভ্যাকসিনের অতিরিক্ত ডোজ । যা প্রাথমিক ইমিউনাইজেশনের পর, একটি বুস্টার ইমিউনাইজিং অ্যান্টিজেনের পুনরায় এক্সপোজার প্রদান করে। সময়ের সাথে সাথে সেই অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়ার পরে সেই অ্যান্টিজেনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে এটি প্রতিরক্ষামূলক স্তরে ফিরে আসে। উদাহরণস্বরূপ, টিটেনাস শট বুস্টার প্রায়ই প্রতি 10 বছরে সুপারিশ করা হয়, যার ফলে টিটেনাসের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট স্মৃতি কোষগুলি তাদের কার্যকারিতা হারায় বা অ্যাপোপটোসিস হয়।
প্রাথমিক টিকা দেওয়ার পরে একটি বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা বিভিন্ন উপায়ে মূল্যায়ন করা হয়। একটি উপায় হল প্রাথমিক ডোজ দেওয়ার কয়েক বছর পরে একটি রোগের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট অ্যান্টিবডির মাত্রা পরিমাপ করা এবং এর পরে বুস্টার ডোজ এর সিদ্ধান্ত নেয়। যদি একজন রোগী একটি বুস্টার ডোজ পান তাহলে তার শরীরে উচ্চ মাত্রার এন্টি বডি তৈরি হয়।
বুস্টার ডোজ কারা পাবে
প্রথমত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরথেকে বলা হয়েছিল 60 বছরের বয়ষী উপরে যারা কর্মস্থলে রয়েছে এবং তারা প্রাইমারির ডোজ নেওয়ার পর ছয় মাস অতিবাহিত করেছে তাদের বুস্টার ডোজ দেওয়া হবে। তবে যারা প্রথম এবং দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছিল তারা আস্তে আস্তে প্রত্যেকেই বুস্টার ডোজ দেয়া হবে এমনটা আশাবাদী সবাই।
বুস্টার ডোজ আবেদনের নিয়ম । বুস্টার ডোজ আবেদন বাংলাদেশ
বুস্টার ডোজ আবেদন সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে যারা করোনাভাইরাস এর প্রাইমারি ডোজের জন্য আবেদন করেছিল তারা বুস্টার ডোজের জন্য যোগ্য নির্বাচিত হবে। আর আইসিটি বিভাগ থেকে বলা হয়েছে বুস্টার রোজার জন্য নতুন করে সুরক্ষার মাধ্যমে আবেদন করার কোন প্রয়োজন নেই। নির্ধারিত সময় সবাইকে এসএমএস এর মাধ্যমে নির্ধারিত তারিখ সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হবে। যখন আপনারা বুস্টার ডোজ নিতে কেন্দ্রে আসবেন তখন আপনাদেরকে সুরক্ষা অ্যাপ থেকে টিকা কার্ড সংগ্রহ করে নিয়ে আসতে হবে। সারা বাংলাদেশে ফাইজারের টিকা বুস্টার ডোজ হিসেবে পুশ করা হবে।